৫ অগাস্ট ২০১২, ২১ শ্রাবণ ১৪১৯
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি এবং সামাজিক
নিরাপত্তার অভাব থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ সরকারবিরোধী
গণবিক্ষোভের পথ বেছে নিচ্ছে। রোববার 'জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন' শীর্ষক এক
আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "অংশগ্রহণমূলক
গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি এবং সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবের কারণে
সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং টেকসই শান্তি ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন
প্রান্তে সৃষ্টি হচ্ছে গণজাগরণের।" 'টেকসই' শান্তির জন্য ন্যায়বিচারকে
একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, "এটা তখনই
অর্জন করা সম্ভব, যখন ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জনগণকে অর্থপূর্ণ উন্নয়নের সাথে
সম্পৃক্ত করা যাবে।"
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য
দারিদ্র্য ও ক্ষুধা বিমোচন, বৈষম্য দূরীকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির
মাধ্যমে বঞ্চনার অবসান, সবার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, টেকসই ও সমতাভিত্তিক
প্রবৃদ্ধি অর্জন, মানবসম্পদ উন্নয়ন জোরদার করা এবং উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ
মোকাবিলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, "আমি বিশ্বাস করি, এসব বিষয়
পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত এবং প্রণোদনামূলক।" জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৬তম
সাধারণ অধিবেশনে 'জনগণের ক্ষমতায়ন' নিয়ে একটি মডেল উপস্থাপনের বিষয়টিও
উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, "আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিশ্বের
লাখ লাখ মানুষ যারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বঞ্চনা এবং
প্রান্তিকীকরণের শিকার, তাদের জন্য এই মডেল উৎসর্গ করা যেতে পারে।"
বক্তব্যের শুরুতেই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, শান্তি, ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের জন্য 'জনগণের ক্ষমতায়ন' সম্পর্কিত যে মডেল আমি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৬তম অধিবেশনে উপস্থাপন করেছিলাম, তা আপনাদের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে।"
এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত মডেলকে আরো শক্তিশালী করবে এবং এই মডেল মানুষের কল্যাণে একটি 'ধ্রুপদী, সর্বজনীন এবং কার্যকর মডেল' হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস।
অন্যদের মধ্যে নেপালের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠ, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জি এল পেইরিস, ভারতের পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ, ভূটানের পূর্ত মন্ত্রী লিওনপো জেশি জিমবা, মালদ্বীপের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী হামীদ, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জন ক্লস এবং ইউনেস্কোর উপ মহা পরিচালক গিটাশিউ এনিডা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
(বক্তব্যটি সংগ্রহীত ও সংক্ষেপিত)
বক্তব্যের শুরুতেই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, শান্তি, ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের জন্য 'জনগণের ক্ষমতায়ন' সম্পর্কিত যে মডেল আমি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৬তম অধিবেশনে উপস্থাপন করেছিলাম, তা আপনাদের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে।"
এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত মডেলকে আরো শক্তিশালী করবে এবং এই মডেল মানুষের কল্যাণে একটি 'ধ্রুপদী, সর্বজনীন এবং কার্যকর মডেল' হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস।
অন্যদের মধ্যে নেপালের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠ, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জি এল পেইরিস, ভারতের পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ, ভূটানের পূর্ত মন্ত্রী লিওনপো জেশি জিমবা, মালদ্বীপের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী হামীদ, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জন ক্লস এবং ইউনেস্কোর উপ মহা পরিচালক গিটাশিউ এনিডা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
(বক্তব্যটি সংগ্রহীত ও সংক্ষেপিত)
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সময় থাকলে আমার সাইটে home shopping network ঘুরে আস্তে পারেন।
ReplyDelete