ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতা মিলিব্যান্ডকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
শনিবার | ২৮ জুলাই ২০১২ | ১৩ শ্রাবণ ১৪১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সরকারি প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সে জন্য আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সম্পূর্ণ সরকারি প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষভাবে। গতকাল স্থানীয় সময় দুপুরে লন্ডনের হোটেল সেন্ট প্যানক্রসের কক্ষে ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতা এডওয়ার্ড স্যামুয়েল মিলিব্যান্ড তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে প্রধানমন্ত্রী এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান। ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ডকে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ২০০৮ সালের নির্বাচনের মতো সরকারি প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ রাখতে বিরামহীন চেষ্টা চালাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ৫ হাজার ২০০টি বিভিন্ন ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের এসব নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। এসব নির্বাচনে কোনো সরকারি প্রভাব ছিল না। একইভাবে ভবিষ্যতের সব নির্বাচনও সম্পূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। বৈঠকে মিলিব্যান্ডের সঙ্গে ছিলেন লেবার পার্টির আরেক নেতা ডগলাস আলেকজান্ডার এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ডের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে দু'দেশের সংসদীয় ব্যবস্থা ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দল এবং লেবার পার্টির মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ওই নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছিল এবং এ ধারা আগামী নির্বাচনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক জোরদারে দুটি দেশের সংসদ সদস্যদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, জাতীয় সংসদের কর্মকাণ্ড এবং গণতান্ত্রিক শাসন ও আইনের শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আরও শক্তিশালীকরণে তার সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টা সম্পর্কে মিলিব্যান্ডকে জানান।
ব্রিটেনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে লেবার পার্টির জনপ্রিয়তার কথা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ রাজনীতিতে মিলিব্যান্ডের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশি রুশানারা আলির হাউস অব কমন্সের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ঘটনার উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন সময় সামরিক শাসন থাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. এম সাইদুর রহমান খান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচদিনের সফরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
শনিবার | ২৮ জুলাই ২০১২ | ১৩ শ্রাবণ ১৪১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সরকারি প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সে জন্য আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সম্পূর্ণ সরকারি প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষভাবে। গতকাল স্থানীয় সময় দুপুরে লন্ডনের হোটেল সেন্ট প্যানক্রসের কক্ষে ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতা এডওয়ার্ড স্যামুয়েল মিলিব্যান্ড তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে প্রধানমন্ত্রী এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান। ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ডকে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ২০০৮ সালের নির্বাচনের মতো সরকারি প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ রাখতে বিরামহীন চেষ্টা চালাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ৫ হাজার ২০০টি বিভিন্ন ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের এসব নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। এসব নির্বাচনে কোনো সরকারি প্রভাব ছিল না। একইভাবে ভবিষ্যতের সব নির্বাচনও সম্পূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। বৈঠকে মিলিব্যান্ডের সঙ্গে ছিলেন লেবার পার্টির আরেক নেতা ডগলাস আলেকজান্ডার এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ডের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে দু'দেশের সংসদীয় ব্যবস্থা ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দল এবং লেবার পার্টির মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ওই নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছিল এবং এ ধারা আগামী নির্বাচনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক জোরদারে দুটি দেশের সংসদ সদস্যদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, জাতীয় সংসদের কর্মকাণ্ড এবং গণতান্ত্রিক শাসন ও আইনের শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আরও শক্তিশালীকরণে তার সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টা সম্পর্কে মিলিব্যান্ডকে জানান।
ব্রিটেনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে লেবার পার্টির জনপ্রিয়তার কথা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ রাজনীতিতে মিলিব্যান্ডের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশি রুশানারা আলির হাউস অব কমন্সের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ঘটনার উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন সময় সামরিক শাসন থাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. এম সাইদুর রহমান খান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচদিনের সফরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
No comments:
Post a Comment